• ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, সোমবার ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Public Rally

রাজ্য

মা-মাটি-মানুষের স্লোগান তোলাবাজি-ভাইপোরাজে বদলে গিয়েছে, তোপ অমিত শাহর

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেদিনীপুরে কলেজ মাঠের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অমিত শাহ। শুভেন্দুকে দলে টেনে এদিন তিনি বলেন, বাংলায় যেভাবে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ভাইপো-কেন্দ্রিক রাজনীতি করছে তৃণমূল। অমিত শাহকে বলতে শোনা গেল, মমতার একসময়ের মা-মাটি-মানুষের স্লোগান এখন বদলে গিয়েছে তোলাবাজি-ভাইপোরাজে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, মমতা ১০ কোটি বাঙালির কথা ভাবেন না, শুধু ভাবেন, কখন কীভাবে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করব। যদিও বিজেপি তাতে ভয় পায় না। বাংলার মানুষও ভয় পাবে না। আরও পড়ুন ঃ এবার গেরুয়া শিবিরের পথে হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে অমিত বলেন, আজ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন সাংসদ-সহ এক ঝাঁক বিধায়ক ও নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দিদি, ভোট আসতে আসতে তৃণমূলে আপনি শুধু একা থাকবেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই। বিজেপির বাঙালি অবাঙালি সব কার্যকর্তাদের সম্মান করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, আপনাকে হারানোর কাজ বিজেপির বাঙালি কার্যকর্তারা করবেন। আর আপনাকে হারিয়ে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তিনিও এই মাটিরই মানুষ হবেন। অমিত শাহ বলেন, আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু উন্নয়ন হয়নি। দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু আমফানের টাকা তৃণমূলের পকেটে। করোনাকালে কেন্দ্রের দেওয়া জিনিস পাননি গরিবরা। হাইকোর্ট পর্যন্ত সিএজি তদন্তের কথা বলেছে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দিদি, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। আপনি নিজেও উন্নয়ন করেন না, মোদিজিকেও করতে দেন না। ভাবেন, তাহলে মোদিজি বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি জানেন না, মোদিজি এমনিতেই বাংলার মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলার কৃষকদের সমস্যার সমাধান, বেকারদের সমস্যার সমাধান নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপিই করবে।এবার আমাদের ৫ বছর সুযোগ দিন, বাংলাকে সোনার বাংলা করব। বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কমিউনিস্টকে ৩৪ বছর দিয়েছেন, মমতাকে ১০ বছর সময় দিয়েছেন। তিন দশক সুযোগ দিয়েছেন কংগ্রেসকেও। বাংলার মানুষকে আহ্বান করতে চাই, একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। তিনি এদিন জানান, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দুশোর বেশি আসনে জিতে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তৃণমূলের শাসনকালে ৩০০-রও বেশি বিজেপি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু এভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। বরং তারা আরও জ্বলে উঠবে। অমিত শাহ বলেন, কান খুলে শুনে নিন দিদি, বিধানসভা ভোটে দুশোর বেশি আসন পেয়ে বিজেপি বাংলায় আসবে। যে সোনার বাংলার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূরণ করতে পারেনি তৃণমূল, বিজেপি সরকার তা করে দেখাবে। কৃষক থেকে শ্রমিক, সব সমস্যার সমাধান হবে। বাংলায় বন্ধ হবে হিংসা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে শুভেন্দুর শ্লোগান ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’

তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে নিজের মূল প্রতিপক্ষ বলে চিহ্নিত করে নাম না করেই গর্জে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর কলেজ মাঠের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতার হুঙ্কার, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। সমস্তরকম জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেন। অমিত শাহ তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন। অমিত শাহকে দাদা বলে সম্বোধন করে বললেন, আমার যখন কোভিড হয়েছিল, ২১ বছর ধরে যে দলে ছিলাম , সেই দলের কেউ খোঁজ নেননি। অমিতজি খোঁজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে ১০০টি মামলা হয়েছে। আপনাদের সকলকে আশ্বস্ত করছি, শুভেন্দু কারও উপর নজরদারি করবে না, মাতব্বরি করবে না। কর্মী হিসেবে কাজ করবে। পতাকা লাগাতে বললে, তাইই লাগাব। পার্টি যা নির্দেশ দেবে, সেটাই করব। আমি ছাত্র রাজনীতি করে এসেছি, সব কাজই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করি। আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠে এসেছি। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূলের দলটা ভিতর থেকে পচে গিয়েছে, খোলা চিঠি শুভেন্দুর তিনি আরও বলেন, আমায় মুকুল রায় বলেছিলেন, আত্মসম্মানবোধ থাকলে তৃণমূলে থাকবি না। তুই বিজেপিতে চলে আয়। তাঁর কথা রাখতে পেরেছি। আত্মসম্মান আছে বলেই তৃণমূল ছেড়েছি। আজ যিনি আমাকে পৃথিবীর সবথেকে বড় পার্টি পরিবারে প্রাথমিক সদস্য হিসাবে গ্রহণ করলেন আমার বড় ভাই অমিত শাহ। বললেন বিজেপি বহুত্ববাদে বিশ্বাস করে। দেশের শান অমিতজি। ২০১৯ সালে নির্বাচনে জেতার পর যশস্বী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণ করেছেন। ২০১৪ সালে নির্বাচনে দলকে উত্তরপ্রদেশে বিশাল জয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। অশোক রোডে পুরনো পার্টি অফিসের ছোট্ট ঘরে দর্শন দেন তিনি। সুযোগ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং। ভাইয়ের মতো ভালবাসেন আমায়। শুভেন্দু বলেন, আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পার্টিতে যোগ দিলাম। জাতীয়তাবাদ, বহুত্ববাদ, দেশপ্রেমে বিশ্বাস করে এই দল। বসুধৈব কুটুম্বকম, সর্বজন হিতায় সর্বজন সুখায় আদর্শ মেনে চলে। পাশাপাশি তাঁর দিতে ওঠা অনেক অভিযোগের জবাব দিলেন কড়া ভাবে। বলেন, অনেকে আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে! অনেকে বলছেন মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। আমার মা গায়ত্রী দেবী। আর দেশ আমার মা। আর কেউ আমার মা নয়। এবারও দ্বিতীয় হবেন মমতা, প্রথম হবে বিজেপিই। এবার বাংলায় বিজেপিরই সরকার হবে। মোদীর হাতে বাংলাকে না তুলে দিলে রাজ্যের সর্বনাশ হবে, এমন তোপ দাগেন শিশির পুত্র। তাঁর দাবি, মা বলতে হলে ভারতমাতাকে বলব, অন্য কাউকে নয়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

আরামবাগের সভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরব শমীকও

বৃহস্পতিবার হুগলির আরামবাগে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত দলকে সরাতেই একুশের লড়াই। পঞ্চায়েত ভোটে অত্যাচারের জবাব মানুষ বিধানসভা ভোটে দেবে। এই কাটমানি আর সিন্ডিকেটের সরকার আর চলবে না। এছাড়াও বলেন, বাংলায় রোজ খুন-ধর্ষণ হচ্ছে। একমাত্র বাংলায় মহিলাদের উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয়। তৃণমূলের ভাঙন প্রসঙ্গ টেনেও দিলীপবাবু বলেন, রাজ্যের এই অবস্থার জন্য তৃণমূল থেকে নেতারা পালাচ্ছেন। মানুষ কাটমানির হিসাব চাইছে তাই পালাচ্ছে। এমনকি বিজেপিতে যোগদানের ভয়ে তৃণমূল নেতাদের পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। আরও পড়ুন ঃ সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের পরিবেশ রক্ষা করতে একাধিক পরিকল্পনা রেলের অন্যদিকে আজ হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শমীক ভট্টাচার্য। সেখানে নাড্ডার কনভয়ে হামলা থেকে পাহাড় প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোন তদন্ত ছাড়া পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করেছিল তৃণমূল। রাজ্যে বাধাহীনভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচী করার অবস্থা নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব না। শমীক আরও বলেন, ধর্ম ও জনগোষ্ঠীর নামে বিভাজন করতে চাইছে তৃণমূল। পাহাড় নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিজেপি। দলের তরফ থেকে সর্বদলীয় বৈঠকে জানানো হয়েছিল কোন গোষ্ঠী বা জনজাতির নামে এই ধরনের পরিষদ গঠন করলে ভারতবর্ষের একতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন চাই। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে রেখেই পাহাড়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিকাশ চায় বিজেপি। আমরা পশ্চিমবঙ্গকে নতুন করে ভাগ করতে চাই না। পাশাপাশি গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিজেপির অবস্থান এদিন স্পষ্ট করেন তিনি। সাম্প্রতিক টেট পরীক্ষা-সহ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই বিজেপি নেতা। পুরভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার মুখে নির্বাচন চাই বললেও এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আমরা চাই, সব পুরভোট সঠিক সময়ে হোক। কিন্তু রাজ্য সরকার, প্রত্যেক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার কারণে গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংকুচিত করে দিয়েছে। একইভাবে পুরনিগম ও পুরসভায় রাজনৈতিক নেতাকে প্রশাসকের পদে বসিয়ে অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

মোদী সরকার কোনও সংবিধান মানছে নাঃ মমতা

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে মানুষকে এবার একজোট হওয়া প্রয়োজন। সভা থেকে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি নিজে ২৬ দিন ধর্মতলার মঞ্চে অনশন করেছিলাম। জমি রক্ষা করতে গিয়ে সেই সময় আমাদের উপর কি অত্যাচার করেছিল, তা আপনারা জানেন। আমাকে এমনভাবে মারা হয়েছিল, আমার বুকে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। আমার পালস রেট ৪৪ এ নেমে গেছিল। আমাকে লাইফ সেভিংয়ে দেওয়ার জন্য চিকিৎসকরা রেডি হয়েছিলেন। রেলের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, রেলের অনেক কাজ করেছি আমি এখানে, সব কাজ করেছি। বিজেপি কি করেছে? একটাও কাজ করেনি। ঘেউ ঘেউ করে ঘুরে বেড়ায়। কি করেছে বাংলার জন্য। কৃষি আইন নিয়ে তিনি বলেন, আজ এমন আইন করেছে , এখন শীতকাল তাই আলু পাচ্ছেন। শীতকালে উৎপাদন হয়। গরমকালে ক্রাইসিস দেখা যাবে। আমার ক্রাইসিস হলে আমরা হাফ দামে দিতাম। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকার কোনও সংবিধান মানছে না। বিজেপি সরকার যা ইচ্ছে, তাই করছে। আর আইন দেখাচ্ছে। রাজীব গান্ধীর সরকার ৪০০ এমপি নিয়েও এই সাহস দেখাত না। আর ওদের ৩০০ এমপিও না। তবু এসব করে বেড়াচ্ছে। কখনও নোট বাতিল, কখনও এই বিক্রি, ওই বিক্রি। প্রতিদিন সকালে উঠছে আর এসব করে বেড়াচ্ছে। আর এস এস হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক, আমি মানি না। মনে করি না। আরও পড়ুন ঃ নাড্ডা ডায়মন্ড হারবারে গাড্ডায় পড়েছেঃ অভিষেক তিনি আরও বলেন, এই নরেন্দ্র মোদির সরকার নিজেরা ভিডিও বানিয়ে মিডিয়াকে দিচ্ছে, আর মিডিয়া সেন্টার প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতে পারছে না। ওদের দোষ না। ওদের মালিকগুলো সব বিক্রি হয়ে গেছে। আপনাদের কাছে তথ্য আছে, আর আমাদের কাছে নেই, এটা ভাববেন না। আমাদের কাছেও তথ্য আছে। শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণ আমরা করি না।

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
রাজ্য

স্রেফ মা দুর্গার কৃপায় সভায় পৌঁছতে পেরেছি , নাড্ডা

এ রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে, আইনের শাসন বলে কিছু নেই। শুধু কাটমানি আর কাটমানি। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে এমনই কথা বললেন বিজেপির সর্ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, মোদিজি অর্থ দিচ্ছেন আর কাটমানিতেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারে কার্যকর্তাদের বৈঠকে আসার পথে আমার কনভয় হামলা হয়েছে। মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপরও আক্রমণ হয়েছে। দেখুন, তাঁরা জখম। এই আক্রমণের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসনেরও রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে, বোঝা যাচ্ছে। এরপর সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নাম নিয়ে নাড্ডার হুঙ্কার, মমতাজির দিন শেষ। বর্বর সরকার উৎখাত হবেই। এখানে পদ্ম ফুটবে। মমতাজি, আপনি বিশ্রাম নিন। এবার বিজেপিকে বাংলার উন্নয়নে কাজ করতে দিন। তিনি আরও বলেন, আমরা আসার সময় যে দৃশ্য দেখলাম তাতে বোঝা যাচ্ছে, মমতাজির আমলে বাংলায় অরাজকতা ও অসহিষ্ণুতার শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। আমার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী না থাকলে কী অবস্থা হত কে জানে। এখানকার বিজেপি কর্মীদের কী অবস্থা তাও আন্দাজ করতে পারছি। মা দুর্গার কৃপায় ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছেছি। তৃণমূলের ক্যাডাররা আটকানোর কোনও চেষ্টা বাদ দেয়নি। কিন্তু এই গুন্ডারাজের পতন অনিবার্য। আরও পড়ুন ঃ নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে এরপরই তিনি সরাসরি মমতাকে তোপ দেগে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাষায় কথা বলছেন! তুইতোকারি করে বিরোধীদের আক্রমণ করছেন, এটা কি বাংলার সংস্কৃতি! মমতার পরই নাম না করে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন নাড্ডা। এই ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে পার্লামেন্টে দেখাই যায় না, বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এছাড়াও সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, কৃষকদের পাওনা ৬ হাজার টাকা মমতাজি আটকে দিয়েছেন। বলেছেন, কৃষকদের নয় আমাকে দিয়ে দাও, কৃষকদের নয় আমাকে দাও। এদিকে, ডায়মন্ড হারবারের পথে কনভয়ে হামলার কথা নিজেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর সঙ্গে সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
রাজনীতি

কেউ আমার মতো কাজ করে দেখাক, পদত্যাগ করবঃ মমতা

রাজ্যের সাড়ে ৯ কোটি মানুষ সরকারের কোনও না কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ১০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবেন। জীবন থেকে মৃত্যু প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সরকার। তাঁরপরেও কুৎসা ছড়াচ্ছে বিজেপি। কেউ আমার মতো কাজ করে দেখাক, পদত্যাগ করব। বনগাঁর জনসভা থেকে কিছুটা অভিমানী সুরে এমন কথাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন কয়েকজন মহিলা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে থাকেন। এই ঘটনায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি কিছুটা সামলে নিয়ে বলেন, এরকম ভাবে আমার দলীয় পাবলিক মিটিংয়ে দাবি জানাবেন না। কিছু বলার থাকলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যান। আমাদের চিঠি দিন। সবটা করা সম্ভব নয়, যতটা পারি করে দেব। অন্যায় দাবি করবেন না। সরকারেরও কিছু লিমিটেশন আছে, নিয়ম মেনে চলতে হয়। এরকম ঘটনায় কিছুটা দুঃখই পেলাম। আরও পড়ুন ঃ দিলীপ ঘোষ একটা ফোর টোয়েন্টি, দালালঃ অনুব্রত এদিনের সভা থেকে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, মোদিবাবু গায়ের জোরে তিনটি কৃষি আইন করেছেন। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে আলুর দাম ৬০টাকা কেজি, পেঁয়াজের দাম ১৮০ টাকা কেজি হয়ে যাবে। ডাল, আলুভাতও খাওয়া যাবে না। কিছু করার থাকবে না। কৃষকদের জিনিস কেড়ে বিজেপি চাইছে কর্পোরেটদের দিয়ে দিতে। মজুতদার, মুনাফাখোড়েদের সুবিধা করে দিতে। কৃষকরা ফসলের কত দাম পাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে ফের তৃণমূল সরকার আসবে এবং বিনামূল্যেই রেশন দেওয়া হবে সবাইকে বলেও এদিন জানিয়েছেন মমতা। মমতা এদিন বলেন, আমফানের পর হেলিকপ্টারে চড়ে নাটক করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও টাকা দেয়নি। আমাদের টাকাই এক হাজার কোটি অ্যাডভান্স দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের টাকাই আমাদের দিয়েছে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজ্য

মতুয়ারা সকলেই নাগরিক, ঘোষণা মমতার

ক্যা ক্যা বলে প্রতারণা করা হচ্ছে। এদের একবার সুযোগ দিলেই ঠাকুমার বাবা, ঠাকুরদাদার জন্ম তারিখ চাইবে। দিতে পারবেন? রাজ্য সরকার আপনাদের নাগরিক বলে দিয়েছে। বনগাঁর গোপালনগরের সভা থেকে কেন্দ্রকে পালটা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দাঁড়িয়ে বলছি মতুয়ারা সকলে নাগরিক। রাজ্যে যারা থাকেন, তাঁরা সবাই এরাজ্যের বাসিন্দা। আপনাদের কোনও প্রমাণপত্রের প্রয়োজন নেই। এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না। মতুয়াদের উন্নয়নের স্বার্থেও রাজ্য সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেই ১০ কোটি টাকা মতুয়াদের উন্নয়নের স্বার্থে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা কমিটি তৈরি করলেই কাজ শুরু হবে। মমতা বলেন, ৩০ বছর ধরে বড়মার চিকিৎসা করিয়েছেন। মতুয়া মন পেতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেচ্ছেন হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের জীবনী স্কুল পাঠ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে। গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটি ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার। এদিনের সভা থেকে একথাও তিনি ঘোষণা করেন। মমতা এদিন বলেন, রাজ্যে কে থাকবে তা রাজ্য ঠিক করবে। এটা রাজ্যের বিষয়। বিজেপি বাংলা থেকে বাঙ্গালীদের তাড়িয়ে গুজরাত বানাতে চাইছে। কিন্তু বহিরাগত গুন্ডা নয় বাংলায় বাংলার বাসিন্দারাই থাকবেন। বাইরে থেকে আরএসএসের গুণ্ডাদের নিয়ে আসছে বিজেপি। নজর রাখতে হবে। সিপিএম এর হার্মাদ, বিজেপির ওস্তাদ। আরও পড়ুন ঃ কৈলাস-দিলীপের নামে এফআইআর শিলিগুড়ি পুলিশের দলনেত্রী আরও বলেন, আমরা কথা দিলে কথা রাখি। আমরা বিজেপি পার্টি নয় যে ভোটের সময় কথা দিয়ে পালিয়ে যাব। বাইরে থেকে আরএসএস নিয়ে এসেছে। তারা মতুয়াদের ধর্ম সম্পর্কে শেখাচ্ছে। হিন্দু ধর্ম কী তা স্বামী বিবেকানন্দের থেকে শিখব। তোমরা কোন হরিদাস? পাড়ায় পাড়ায় বহিরাগত দেখলে এফআইআর করবেন। না নিলে আমাদের কার্যালয়ে জানাবেন।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অফার আছে আমার কাছেওঃ উদয়ন

এবার দলের কয়েকজন নেতা- কর্মীর ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। রবিবার দিনহাটায় দলের এক সভায় তিনি দাবি করেন, পদ্মশিবির যোগের অফার রয়েছে তাঁর কাছেও। তিনি বলেন, আমি তৃণমূলের আদর্শ দেখে দলে আসিনি। আমি এসেছি একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন বিজেপিতে গেলে আমিও যাব, নাহলে নয়। এদিনের সভায় দলবদল প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের নিশানা করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ অম্বেডকর নয়, রাজ্যজুড়ে চলছে ভাইপোর সংবিধানঃ কৈলাস বলেন, তৃণমূলের লোকেরাই দলের ক্ষতি করছেন। তাঁদের একাংশের উপর ক্ষোভ থেকেই দলত্যাগের ঘটনা ঘটছে। যদিও এই দলবদল কোচবিহার তৃণমূলে অন্তত প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই দাবি বিধায়কের। তাঁর কথায়, দল ছেড়ে যে-ই যাক না কেন, যেখানেই যাক না কেন, কোচবিহারে তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। তাঁর কথায়, দলত্যাগে নয়, দলে থেকেই দলের ক্ষতি করার সুযোগ বেশি! এদিনের সভায় কারা অনুপস্থিত তাঁদের চিহ্নিত করার কথাও বলেন তিনি। সরাসরি স্থানীয় তৃণমূল নেতত্বকে আক্রমণ করে বলেন, গত ১০দিন কলকাতায় ছিলাম, এখানে তৃণমূল কর্মীরা রটিয়েছে উদয়ন গুহ বিজেপিতে যেতে পারে। এমনও হতে পারে, উদয়ন গুহ টিকিট পাবে না, তাঁকে কোচবিহার দক্ষিণে দিতে পারে, তাই ধরাধরি করতে গিয়েছে, টাকাপয়সা দিতে গিয়েছে, যাতে দিনহাটায় পেতে পারে।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal